ডেস্ক রিপোর্ট ::
সাতক্ষীরার চারটি নির্বাচনী এলাকার তিনটিতে তীব্র প্রতিদ্ব›দ্বীতার সম্ভাবনা উঁকি দিলেও রুহুল হক-এমপির আসনে সে সম্ভাবনা ক্ষীণ। আর সে কারণেই আসনটিতে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। আবার ভোটার উপস্থিতি কম-বেশির উপর ভর করে মাঠে রয়েছেন আরো অন্তত পাঁচ প্রার্থী। শুধু মাঠে থাকা নয়-রীতিমত তারা নিয়মিত নির্বাচনী প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিএনপি-জামায়াতের বর্জনের মুখে আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আশাশুনি-দেবহাটা-কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৬জন। এরমধ্যে টানা তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্ঠা ডা. আ. ফ. ম. রুহুল হক-এমপি আবারো নৌকার মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনী প্রতিদ্ব›দ্বীতায় অংশগ্রহণ করছেন। সাতক্ষীরায় মেডিকেল কলেজ, নলতায় ম্যাটস প্রতিষ্ঠাসহ জেলার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালনকারী এই কর্মবীরের সাথে মাঠে ছুটে পারা অনেকের জন্য কষ্টকর। জাতীয় সংসদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ডা. হক রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাসহ জাতীয় উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রেখে চলেছেন। দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নেও তার ভ‚মিকা অপরিসীম। প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ডা. রুহুল হক আন্তজার্তিক ক্ষেত্রেও দেশের পক্ষে এবং সরকারের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রেখে চলেছেন। ফলে তার নির্বাচনী এলাকায় তিনি নিজেই নিজের প্রতিদ্ব›দ্বী হয়ে উঠেছেন।
এছাড়া সাতক্ষীরার সামগ্রিক উন্নয়নে ডা: রুহুল হকের অবদান অপরিসীম। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নলতা ম্যাটস্, আশাশুনি ও দেবহাটায় মডেল মসজিদ, আশাশুনি এতিমখানা, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্টসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তিনি জননন্দিত হয়ে আছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনের নির্বাচনে ডা. রুহুল হকের সাথে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন জাতীয় পার্টির উদীয়মান নেতা এড. স. ম. আলিফ হোসেন, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমেছেন জাসদের রুবেল হোসেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল) প্যলিট ব্যুরোর সদস্য শেখ তরিকুল ইসলাম লড়ছেন চাকা প্রতীক নিয়ে, এনপিপির প্রার্থী মো. আব্দুল হামিদ আম প্রতীক এবং জাকের পার্টির মঞ্জুর হোসেন গোলাপ ফুল প্রতীক।
২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ লাখ ৪২ হাজার ৭০৯ ভোট পেয়ে ডা: রুহুল হক প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সব দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ছিলেন বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রার্থী জামায়াতের রিয়াছাত আলী পেয়েছিলেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮০২ ভোট। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডা. রুহুল হক বিনা প্রতিদ্ব›দ্বীতায় নির্বাচিত হন।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ডা. রুহুল হক ৩ লাখ ৩ হাজার ৬৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপি-জামায়াত জোট মনোনীত বিএনপি প্রার্থী ডা. শহিদুল আলম পেয়েছিলেন ২৪ হাজার ৬৭১ ভোট।
অপরদিকে ডা. রুহুল হকের সাথে প্রতিদ্ব›দ্বীতায় নানা অন্য পাঁচ প্রার্থীর সকলেই এবারই প্রথম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনটি উপজেলা নিয়ে গঠিত এই নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের কাছে তারা নতুন মুখ। প্রার্থীদের কেউ দলীয় আদর্শ প্রচারের জন্য, কেউ পরিচিত হওয়ার জন্য এবং কেউ বিজয়ী হওয়ার আশা নিয়ে মাঠে নেমেছেন।
এবারের নির্বাচনে এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৩১ হাজার ৩৮০জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১৮ হাজার ২৪৬জন এবং মহিলা ২ লাখ ১৩ হাজার ১৩১ জন এবং হিজরা ৩জন।
##