ডেস্ক রিপোর্ট ::
সাতক্ষীরা শহরে দিন দিন বেড়ে চলেছে যানযট। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পেশাজীবি, শ্রমজীবি, শিক্ষাীর্থী, ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়ছে। এই যানজট যেমন জনজীবনে প্রভাব ফেলেছে তেমন শহরের পরিবেশকে অতিরিক্ত ক্ষতিকর বায়ু নির্গত হওয়ার কারণে দূষিত করে চলছে। যানজট সাতক্ষীরা একটি দীর্ঘ অভিশাপে রূপ নিয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে টানা যানজটে চলছে শহরের বিভিন্ন সড়কে। যানযট সৃষ্টির হয় মূলত সাতক্ষীরা শহরের বাসষ্টান্ড মোড় থেকে খুলনা রোড় মোড় পর্যন্ত, জজকোট মোড় থেকে নিউ মার্কেট হয়ে হাটের মোড় পর্যন্ত, একই সাথে নিউ মার্কেট মোড় থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত, পাকাপোল মোড় থেকে পৌরসভা পর্যন্ত সৃষ্টি হয় সাথে স্থায়ী হয় ৩০ মিনিট পর্যন্ত। সাতক্ষীরা দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশরা এই যানজট লাঘব করতে মাঝে মাঝে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।
চাকুরিজীবি খালিদ হোসেন বলেন, আমি একটি বেসরকারি কোম্পানীতে মার্কেটিং এর চাকরি করি। শহরে মার্কেটিং কাজ শেষ করতে দিনের অধিকাংশ সময় পার হয়ে যায় যানজটের কারনে। শহরের বাইরে কাজ করতে পারি না ঠিকঠাক। এজন্য কতৃপক্ষের চাপ সামলাতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ী খন্দকার আওরঙ্গজেব নয়ন বলেন, সাতক্ষীরা যানজট যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়। শহরের অধিকাংশ সড়কগুলোতে দীর্ঘদিন যানজট দেখতে পাচ্ছি। যানজটের কারণে আমরা ব্যবসায়ীরা লোকশান গুনছি। সময়মত পরিবহনে পন্য একস্থান থেকে আরেক স্থানে পৌছাতে পারছে না। যানযটের মূল কারণ সড়কে যানবাহন বৃদ্ধি পেয়েছে, সড়কের প্রস্থ কমেছে। ফুটপাত জুড়ে দোকানপাট গড়ে ওঠেছে। সাথে ঢাকাগামী পরিবহনগুলো সড়কের অধিকাংশ জায়গা জুড়ে পার্কিং জন্য এই যানজট সৃষ্টির মূল কারণ। ট্রাফিকের সংখ্যা বাড়াতে হবে, সাথে নজরদারি আনতে হবে। আমরা সাতক্ষীরাবাসী এই দীর্ঘ ভোগান্তির অবসান চাই।
ভুক্তভোগী আব্দুল করিম বলেন, প্রতিদিন সাতক্ষীরা শহরে যানযট ব্যাপক সৃষ্টি হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সকল শ্রেণীর পেশাজীবি মানুষকে। আমরা শহরবাসী যানযট নামক দীর্ঘ অভিশাপের অবসান চাই। প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি। যানজট নিরসনে শহরের আন্ত: জেলা পরিবহনগুলো যেখানে সেখানে অবৈধ পাকিং বন্ধ করতে হবে।
সাতক্ষীরা নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দরা বলেন যানজট নিরসনে সুষ্ঠু পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। শহরে দিনে দিনে যানযট বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা নিরসনে পদক্ষেপ দেখছি না। সড়কে পাশ জুড়ে অবৈধ পার্কিং ও ফুটপাত জুড়ে দোকানপাট যানযটের মূল কারণ। রিআরটি ও ট্রাফিক যৌথ উদ্দ্যোগে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই ভোগান্তি মুক্তি চায় এখন সাতক্ষীরাবাসী।