ডেস্ক রিপোর্ট ::
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই ভারী হচ্ছে সাতক্ষীরা-২ সদর আসনের মহাজোটের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশুর পাল্লা। ক্লিন ইমেজের এই নেতার পক্ষে একে একে একাত্ম হচ্ছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ-জাতীয় পাটিসহ সমাজের নানা পেশার নেতৃবৃন্দ। ফলে আশু এই আসনে ভোটের হিসাব পাল্টে দিতে পারেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর পর গেল দুই সপ্তাহে হেভিওয়েট প্রার্থীদের চেয়ে নেতৃবৃন্দের সমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত জেলা জাতীয় পার্টির প্রার্থী আশু। তাঁর প্রতীক লাঙ্গলের পক্ষে প্রতিদিনই সদর আসনের বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান মেম্বার যুক্ত হচ্ছেন। হাজারো জনতা গণসংযোগ ও নির্বাচনি সভায় অংশ নিচ্ছেন।
আশুর সঙ্গে জাতীয় পাটির সকল স্তরের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নৌকার প্রার্থী না থাকায় তারা সমর্থন দিচ্ছেন আশুকে। তুলে ধরছেন এমপি হিসেবে আশুকে কেন প্রয়োজন। লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিতে আহ্বান জানাচ্ছেন ভোটারদের।
আশরাফুজ্জামান আশুর পক্ষে কাজ করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আবু আহমেদ, সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সদরে দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রত্যাহারকৃত প্রার্থী ও যুগ্ম-সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, যুগ্ম সম্পাদক আ.হ.ম. তারেক উদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুন শামস, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক লায়লা পারভিন সেঁজুতি, সদস্য এসএম শওকত হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ জেলা শাখার সভাপতি মাহমুদ আলী সুমন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন হোসেন, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুজ্জামান জুয়েল, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশিসহ প্রভাবশালী নেতারা। এছাড়াও সদরের বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বাররা লাঙ্গল প্রতীকে সমর্থন জানিয়ে আশুকে বিজয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে স্বতন্ত্র হিসেবে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী আফসার আলী প্রকাশ্যে কোন দলীয় সমর্থন না পেলেও এক ঝাক তরুণকে সাথে নিয়ে সাতক্ষীরা সদরের বিভিন্ন ইউনিয়ন ওয়ার্ড পাড়া মহাল্লায় ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে সাধারণ ভোটারদের একাংশের মন জয় করতে তিনি সক্ষম হয়েছেন বলে বিভিন্ন এলাকায় শোনা যাচ্ছে। যেখানে দলীয় প্রার্থীদের অফিস নেই সেখানেও তার অফিস এবং অফিস ঘিরে ভীড় লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন হেভিওয়েট প্রার্থী পিছে ফেলে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতায় তার চলে আসার উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে, সাধারণ ভোটাররা বলছেন, জাতীয় পাটির শতভাগ ভোট, আওয়ামী লীগের অধিকাংশ ভোট এবং স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের অধিকাংশই লাঙ্গলের প্রার্থীর পক্ষ নেওয়ায় এবং ক্লিন ইমেজ ও সমাজসেবক হিসেবে সর্বসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকায় আশু পিছিয়ে দিয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থীদেরকে।