পলাশ কর্মকার ::
খুলনার কপিলমুনিতে জেঁকে বসেছে শীত। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর টানা কয়েক দিনের শীতের তীব্রতায় বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ম আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা। দেখা দিয়েছে ঠান্ডা জনিত রোগের প্রাদূর্ভাব। বেশিরভাগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। গত কয়েকদিনে দুই শতাধিক শিশু ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভুগছে বলে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন।
সারাদেশের ন্যায় মৌসুমের শীত জেঁকে বসেছে কপিলমুনি এলাকায়। ঘনকুয়াশা আর শীতের প্রচন্ড তীব্রতার কাছে সবাই যেন পরাস্ত। সকালে দীর্ঘ সময় কুয়াশা আর বৃষ্টির ফোঁটা সব বয়সের মানুষকে করেছে কাবু। বুধবার সারাদিন সূর্যের দেখা পাননি এ এলাকার মানুষ। ফলে নিম্ন আয়ের ও শ্রমজীবী মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম মারাতœকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। নোয়াকাটী গ্রামের দিনমজুর ইউনুছ আলী জানান, প্রতিদিন কাজ করে সংসার চালাতে হয়। প্রচন্ড শীতের কারণে স্বাভাবিক কোন কাজ করতে পারছি না। আমার মত শ্রমজীবী সবাই শীতের কারণে বেকায়দায় পড়েছে। এদিকে স্বাভাবিক কাজ-কর্ম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, হাপানি, সর্দী-কাশি, এলার্জি, টনসিল ও চর্মরোগ সহ ঠান্ডা জনিত রোগের প্রার্দূভাব। যার বেশিরভাগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। কপিলমুনি গ্রামের গৃহবধু মুনিশা বেগম জানান, আমার বাচ্চাটি গত ৪/৫ দিন ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতের তীব্রতা এতবেশি যেন কোন ঔষধ কাজে আসছে না।
মেডিকেল অফিসার এম কে হক রানা বলেন, শীত ও ঘনকুয়াশার কারণে ঠান্ডা জনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এ ধরণের সমস্যায় বেশিরভাগ আক্রান্ত হয় শিশুরা। তিনি ঠান্ডা জনিত সমস্যা থেকে শিশুদের সুরক্ষা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে খালি পায়ে না হাঁটা, বাইরে কম বের হওয়া, ঠান্ডা বাতাস না লাগানো, মোটরসাইকেল জাতীয় যানবাহন না চড়া, বিশুদ্ধ হালকা উষ্ণ গরম পানি খাওয়া, গরম কাপড় ব্যবহার করা সহ অপুষ্টিজনিত শিশুদের তাপযুক্ত স্থানে রাখার জন্য পরামর্শ দেন।
##