আর.কে.বাপ্পা, দেবহাটা ::
দেবহাটায় একটি মাদ্রাসার সুপারের দূর্নীতির বিরুদ্ধে ঐ মাদ্রাসার অপর ১১ জন শিক্ষক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা ঐ সুপারের বিভিন্ন দূর্নীতি ও অনিয়মের প্রমান ও মামলার এজাহার এবং সুপারের গ্রেফতার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে তার বিচার দাবি করেন। দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবে মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১টায় উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন দেবহাটা উপজেলার ঘোনাপাড়া রহমানিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মোকছেদুল আলম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ঘোনাপাড়া রহমানিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা হয়। পরে ১৯৯৭ সাল, ২০০৩ সাল, ২০০৫ সাল ও ২০০৯ সালে পর্যায়ক্রমে শিক্ষাবোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে শিক্ষক পদে তিনিসহ (মোকছেদুল আলম) সুপারিটেন্ডেন্ট পদে আব্দুস সাত্তার, শিক্ষক পদে যথাক্রমে নুরুল ইসলাম, সঞ্জয় সরদার, আব্দুর রহিম, ইয়াকুব আলী, এবতেদায়ী প্রধান পদে হুসনেয়ারা খাতুন, অফিস সহকারী আকবর আলী খাঁন, এমএলএসএস আব্দুল হামিদ, নৈশ প্রহরী হিসেবে আনিছুর রহমান ও আয়া পদে নুরুন্নেছা কে নিয়োগ প্রদান করা হয়। সেসময় থেকে তারা উক্ত মাদ্রাসাটি তাদের দায়িত্ব পালন করাকালীন মাদ্রাসাটির সুপার মাওলানা আবুল বাশারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তিনি তাদেরকে বিভিন্ন প্রকারের হুমকি দিতে থাকে। আবুল বাশার ২২/১১/২০১৯ সালে ভূয়া পরীক্ষার্থী সাজিয়ে দাখিল পরীক্ষা দেয়ানোর সময় ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে জি.আর ১২৩/১৯ নং মামলা হয়। আবুল বাশারের নামে দেবহাটা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বাদী হয়ে বাল্য বিবাহ পড়ানোর অভিযোগে দেবহাটা থানায় মামলা করলে আবুল বাশার গ্রেফতার হন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আদালতে চেক প্রতারনার মামলা যার সি.আর মামলা নং- ২৭৬/২২ (চলমান), ৩/২০২৪ ও ২০৬/২৩ নং মামলাসহ অসংখ্যা
মামলা চলমান আছে। গত বছর উক্ত মাদ্রাসাটি এমপিও ভুক্তকরন হয়। তারপরে সুপার আবুল বাশার মাদ্রাসা কমিটির সাথে যোগসাজশে আগের নিয়োগকৃত ১১ জন শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাদ দিয়ে এক রাতের মধ্যে তার মনের মতো লোককে নিয়োগ দিয়ে দেন। মোকছেদুল আলম বলেন, এবিষয়ে তারা মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, দূর্নীতি দমন কমিশন, মাদ্রাসা বোর্ড, ঢাকা, সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এবিষয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে। মোকছেদুল আলম এই ধরনের দূর্নীতিবাজ, বাল্য বিবাহ প্রদানকারী ও সকল অপকর্মের হোতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও তাদের চাকরি বহাল করার দাবী জানান।