ইয়ারুল ইসলাম :
সাতক্ষীরায় জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের ঈদের কেনাকাটা। অভিজাত শপিং মল থেকে শরু করে ফুট পাতের দোকান গুলোতে তিল ধরনের ঠাই নেই। ঈদে চাই নতুন পোশাক।
সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় এখানে ভারতীয় বাংলা ও হিন্দি সিরিয়ালের নামের সঙ্গে মিল রেখে বিক্রি হচ্ছে নানা ধরনের মেয়েদের ভারতীয় পোশাক। টুপিচ ও থ্রিপিচ বিক্রি হচ্ছে।
সাতক্ষীরা সিটি সেন্টারের পরিচালক খালিদ বলেন, এবার ঈদে মেয়েরা সারারা, অর্গেনজা, গারারা ও নায়রা থ্রিপিচ পছন্দ করছে বেশি। আর ছেলেদের জন্য জিন্স প্যান্ট, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট এমনকি গ্যাবাডিং প্যান্টের, কাতুয়া এবং সেমি লং পাঞ্জাবির উপর।
পালকীর শপিং এর ম্যানেজার আমজাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশী পোশাকের পাশাপাশি পাকিস্থানী ও ভারতীয় পোশাক টুপিচ ও থ্রিপিচ বিক্রি হচ্ছে। তবে এবার ঈদে সারারা, অর্গেনজা, গারারা ও নায়রা থ্রিপিচের চাহিদা বেশি। এসব থ্রিপিচ সর্বনিম্ন ৫৫০ টাকা থেকে সর্বচ্চ্য ৪৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় এবার ঈদের কেনাবেচা খুবই ভালো যাচ্ছে। ক্রেতারা ভিড় ও ঝামেলা এড়াতে এবার রমজানের শুরু থেকেই ঈদের কেনাকাটা করছেন। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত শপিং মলে সমান ভাবে ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের দোকান গুলোতে ভড়ি চোখে পড়ার মতো।
সাতক্ষীরার বসুন্ধরা টাওয়ারের ব্যবসায়ী ইমদাদ হোসেন বলেন, ভারতীয় বাংলা ও হিন্দি সিরিয়ালের নামের সঙ্গে মিল রেখে বিক্রি হচ্ছে নানা ধরনের মেয়েদের ভারতীয় পোশাক
কেনাকাটা করতে আসা লাবসা এলাকার গৃহবধু লায়লা পারভিন (৫০) জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। তবুও ছেলে-মেয়ের জন্য তো কিনতে হবে। দাম একটু কম হলে সাধারন মানুষ স্বচ্ছন্দে কেনাকাটা করতে পারতো।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী বলেন, সাধারণ মানুষ ঈদের কেনাকাটা করে যাতে নির্বিঘেœ বাড়িতে ফিরতে পারে সে জন্য জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকে শহরের বিভিন্ন স্থানে নজরদারি রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
###