স্টাফ রিপোর্টার ::
সাতক্ষীরার উপকূল এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কন্ট্রোল রুমের তথ্য মতে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে । এবং ৮০০ টির ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, এবারও ঢাল হয়ে খুলনা অঞ্চলকে আরও ভয়ানক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করেছে সুন্দরবন। বাতাসের গতিবেগ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে এই বন।
তারপরও অনেকস্থানে রাস্তার ওপরে গাছপালা পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় লোকজন তা সরানোর চেষ্টা করছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উপকূলবর্তী বেশ কিছু স্থানে মাছের ঘের একাকার হয়ে গেছে।
সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল দুর্বল হলেও বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
শ্যামনগরের সুলতান শাহজাহান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল সাতক্ষীরা উপকূলে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। অনেক গাছগাছালি উপড়ে চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এখনো গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বয়ে চলছে। নদ-নদীগুলো এখনও উত্তাল।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি সাতক্ষীরা অতিক্রম করেছে। রাত ১টায় এখানে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ৭২ কিলোমিটার। সন্ধ্যা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত এই জেলায় ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
গতকাল রাত থেকে এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে অনেক এলাকায়।
##