বি. এম. জুলফিকার রায়হান ::
তালায় মুক্তি ফাউন্ডেশন’র আয়োজনে শুকরপালন ও বাজারজাতকরণ এবং বাঁশজাতপন্য তৈরি ও বাজারজাত করণ ট্রেডের ৫২ জন উপকারভোগীদের মাঝে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ৭ লক্ষাধিক টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। দাতা সংস্থা ম্যালটিজার ইন্টারন্যাশনাল এর আর্থিক সহায়তায় বিএমজেড-পিটিপ্রকল্পের আওতায় অর্থ প্রদান উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান সোমবার (৩ জুন) মুক্তি ফাউন্ডেশন এর প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ইনপুট বিতরণ করেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া শারমিন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জয় বিশ^াস ও খেশরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম লাল্টু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, মুক্তি ফাউন্ডেশন এর পরিচালক গোবিন্দ ঘোষ। বিএমজেড-পিটি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. মহিউদ্দিন মোল্যা’র পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে মুক্তি ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি সমন্বয়কারী জোসেফ মন্ডল, মুক্তি ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী সুনন্দা ভদ্র, মুক্তি ফাউন্ডেশন’র উইক্যাড প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. আশরাফুল ইসলাম, শিক্ষা প্রকল্পের রনময়কান্তি দাস, উত্তম কুমার ঘোষ ও রাজিব কুমার দাশ সহ ৫২জন উপকারভোগী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শুকরপালন ও বাজারজাতকরণ ট্রেডের ৩৭ জন উপকারভোগীকে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রতিজনকে ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার এবং বাঁশজাতপন্য তৈরি ও বাজারজাত করণ বাবদ প্রতিজনকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়।
এবিষয়ে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, মুক্তি ফাউন্ডেশন ৫২ জন উপকারভোগীকে প্রকল্পের সহায়তা হিসেবে অনুদান দিচ্ছে, এটি অত্যন্ত ভালো খবর। দাতা সংস্থা সহায়তা দিচ্ছে অতিদরিদ্র পরিবারের আয় বাড়ানোর জন্য এবং সর্বোপরি মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকার জন্য। তিনি বলেন, আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পদার্পন করতে চাই এবং সেটি করতে হলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও উন্নয়ণের ধারাবাহিকতায় এগিয়ে আসতে হবে। মুক্তি ফাউন্ডেশন এগিয়ে এসেছে। তারা স্বচ্ছতার সাথে কাজ করছে, সঠিক প্রান্তিক লোকগুলোকে বাছাই করে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং সহায়তা দিচ্ছে। তিনি উপকারভোগীদের উদ্দেশ্যে বলেন, অনুদানের অর্থ যথাযথ ও সঠিকভাবে সুনির্দিষ্ট ট্রেডে বিনিয়োগ করে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে।
###