নাজমুল আলম মুন্না ::
উপকূলীয় এলাকায় ন্যাপ (NAP) বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিতকরণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে ক্লাইমেট দুর্গত অঞ্চল ঘোষণাসহ ১৪ দফা দাবি উপস্থাপন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংসগঠন গ্রীন প্ল্যানেট বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে এসব দাবি উপস্থাপন করেন গ্রীন প্ল্যানেট-বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম তালুকদার। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা। সঞ্চালনা করেন গ্রীন প্ল্যানেট বাংলাদেশ’র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আশরাফুল ইসলাম নূর। লিখিত বক্তব্যে গ্রীন প্ল্যানেট-বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেছেন, উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকবেলায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। স্থানীয় জ্ঞান ও বিজ্ঞানে দুইয়ের সমন্বয় করে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। স্থানীয় সরকার কাঠামোর প্রতি স্তরে জলবায়ু সংক্রান্ত পদ সৃষ্টি করা জরুরি। উপকূলীয় এলাকায় ন্যাপ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে হবে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে ক্লাইমেট দুর্গত অঞ্চল ঘোষণা করতে হবে। দুর্গত মানুষ ও জনপদের পুনর্বাসনের জন্য স্বল্পমেয়াদি মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে। আন্তর্জাতিক ফান্ড সংগ্রহ করতে হবে। কপ
ঘোষিত লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ড, গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফান্ড পেতে আন্তর্জাতিক গাইডলাইন মেনে প্রকল্প গ্রহণ করা। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট বিশেষজ্ঞ প্যানেল ও দেশীয় বিশেষজ্ঞগণের পরামর্শ অপরিহার্য। উপকূলের সব হারানো মানুষের জলবায়ুর ক্ষতিপূরণ পেতে আইনী সহায়তা দিতে হবে; প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে ক্ষতিপূরণ মামলা করতে হবে। খুলনাতে ক্লাইমেট ডাটা সেন্টার ও গবেষণাকেন্দ্র করতে হবে। উপকূলীয় অঞ্চলের প্রতিটি শহরকে গ্রীন সিটি ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করা। জলাশয় ভরাট ও বৃক্ষনিধন নিরুৎসাহিত করা। গ্রীন এনার্জি ব্যবহারে উৎসাহিত করা। সর্বস্তরে বনায়ন সামাজিক আন্দোলন হোক।