স্টাফ রিপোর্টার ::
সাতক্ষীরায় জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় জেলার পুরাতন লাশ কাঁটার ঘর বা মর্গকে আধুনিকায়ন করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগে স্থানান্তরের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, পশ্চিম সুন্দরবনের মান্দারবাড়ি এলাকায় সম্প্রতি ভারতের গুজরাট থেকে ৭৮ জন পুশব্যাককৃতদের মানবিক সহায়তা প্রদানের অনুরোধ করা হয়েছে।
জেলার একমাত্র শিশু হাসপাতালকে এম আর খান শিশু হাসপাতাল নাম করণ করা, চলমান আম মৌসুমে সাতক্ষীরার আম বাজারজাত করণে কোন প্রকার অসাধু উপায় অবলম্বন করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা, বেসরকারি ক্লিনিক গুলো বন্ধ না করে আধুনিকায়ন করণের উপর গুরুত্ব দেওয়া, মাদক পাচার রোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, সুন্দরবনে জলদস্যু প্রতিরোধে যৌথ অভিযান অব্যাহত রাখা, অবৈধভাবে দখলকৃত সরকারি খাস জমি উদ্ধারে যৌথ অভিযান অব্যাহত রাখা, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বেড়িবাঁধ রক্ষায় বাঁধের ৫০ গজের মধ্যে মৎস্য ঘেরের বাঁধ নির্মাণ না করতে পারে সেদিকে লক্ষ রাখা, প্রাণ সায়ের খালকে গতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করাসহ জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
সোমবার (১২ মে) সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রিপন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা পুলিশ সুপার মো মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিষ্ণু পদ পাল, ৩৩ বিজিবি’র উপ অধিনায়ক ক্যাপ্টেন শাদমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাসরুবা ফেরদৌস, জেলা পুলিশিং কমিটি ও দুর্নীতি দমন কমিটির সভাপতি ডা.আবুল কালাম বাবলা, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো.আবুল হাসেম, সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব বসু, জেলা শিক্ষা অফিসার মো.আবুল খায়ের, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক রহমতুল্লাহ পলাশ, যুগ্ম আহবায়ক তাজকিন আহমেদ চিশতী, সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, জেলা জামাতের আমীর অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারী মাও. আজিজুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক মো. মেহেদী হাসান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম, জেলা বারের সভাপতি এড.শাহ আলম, এনএসআইয়ের উপ-পরিচালক আসাদুল হক পারভেজ, ডিজিএফআইয়ের উপ-পরিচালক রেজাউল হক চৌধুরী, জেলার সাত উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নাজমুন নাহার, সার, বীজ ও কীটনাশক কমিটির সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধি, সিভিল সার্জন প্রতিনিধি, নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড, আনসার ব্যাটালিয়ন, বিসিক শিল্প নগরী কর্মকর্তা অর্নব কুমার ঘোষ ও জেলা কার্যালয় সাতক্ষীরার উপব্যবস্থাপক গৌরব দাস সহ জেলার সকল সরকারি বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, আসন্ন কোরবানী ঈদের চামড়া রক্ষণাবেক্ষণ ও যথাযথ ভাবে বাজারজাত করণ, কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে সরকার নির্ধারিত দামে লবণ বিক্রি করা, সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া ক্রয় ও বিক্রি করতে বলা হয়েছেএবং চামড়া সংরক্ষণে জেলার সাতটি উপজেলায় গোডাউন নির্ধারণ করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ প্রদান।