ডেস্ক রিপোর্ট ::
জেলায় চলতি মৌসুমে ৭৮৯২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে এবং ধানের ফলন ভালো হয়েছে। সোনালী ফসল বাড়িতে নেওয়ার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। মাঠের অধিকাংশ ধান একযোগে কাটার উপযুক্ত হয়েছে ফলে ধান কাটার জন্য শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে অধিকাংশ ধান ঘরে তুলবে কৃষক। তবে যারা সরিষার চাষ করে ধান করেছিল তাদের ধান কাটতে আরো ৭দিনের মতো দেরি হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘ পরিশ্রমের পর ধান বাড়িতে আসবে এজন্য কৃষাণীরা গোবর পানি একসাথে মিশ্রিত করে মাটিতে ঢেলে তারপর ঝাঁটা দিয়ে সেগুলো টেনে ফেটে যাওয়া মাটি বন্ধ করছে আর এসব কাজে সহযোগিতা বাড়ির অন্য সদস্যরা।
কৃষকের হাজারো স্বপ্ন ধানের মধ্যে এই ধান বিক্রি করে তারা সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখছে। এজন্য কিছুতেই যেন ধান নষ্ট না হয় সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে কৃষক ও কিষাণী। কোন কোন কৃষক বছরে একবার বোরো ধান সিদ্ধ করে চাল তৈরি করবে এবং বছরজুড়ে তারা সেটা খাবে। গ্রামের প্রতিটা কৃষকের বাড়িতে ধান উঠবে এজন্য উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে কৃষকের বাড়িতে। বিষয়ে খেজুরডাঙ্গা গ্রামের গ্রামের কৃষক রফিকুল বলেন, ঈদ হয়ে গেল, একটা আনন্দ তবে আরও আনন্দ পাব যদি ধানগুলো সুষ্ঠুভাবে আমার বাড়িতে আসে। আমি ধানগুলো চাষ করতে অনেক টাকা খরচ করেছি। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলায় এখন পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে তাছাড়া আমরা যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম তা পূরণ হয়ে আরও উদ্বৃত্ত উৎপাদন হবে বলে আমরা আশা করছি।